প্রথমবারের মতো কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘ইন্দো-বাংলা নোয়াখালী উৎসব’। আগামী ৮-১০ ডিসেম্বর তিনদিন ব্যাপী কলকাতার সল্টলেকের পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে চলবে এই আয়োজন। সেখানে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যোগ দেবেন নোয়াখালীর গুণী ব্যক্তিরা।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে কলকাতার গড়িয়াহাটে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির সভাপতি ধীরাজ মোহন চন্দ, কার্যকরী কমিটির সভাপতি রাখাল মজুমদার, আহ্বায়ক রক্তিম দাস, নোয়াখালী সম্মেলনের সম্পাদক মনোজ রায় ভৌমিক প্রমুখ।
এ সময় উৎসব কমিটির সভাপতি মোহন চন্দ বলেন, দুই বাংলার মানুষকে যদি একত্রিত করতে পারি, সকলে মিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারি সেটা খুব ভালো হয়। সেটা মাথায় রেখেই যুক্তরাষ্ট্রে যেমন বঙ্গ সম্মেলন হয়, তেমনি নোয়াখালীর মানুষদের নিয়ে এই উৎসব।
অন্যদিকে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক রক্তিম দাস বলেন, গোটা বিশ্বের নোয়াখালি মানুষদের একত্রিত করতে একটা মঞ্চে নিয়ে আসার লক্ষ্যে এই উৎসব। কারণ ১৯০৫ সালে যখন বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল তখন নোয়াখালীর মানুষ ঠিক করেছিল কলকাতায় নোয়াখালী সম্মিলনী করতে হবে। কারণ তারা বঙ্গভঙ্গ মানেনি। এবছর কলকাতায় হচ্ছে, আগামী বছর বাংলাদেশের নোয়াখালীতে এই উৎসব হবে।
তিনি আরো জানান ‘উৎসবে ভারত ও বাংলাদেশের বৃহত্তম নোয়াখালীবাসী ও শুভানুধ্যায়ী, সমাজসেবী মনোভাবাপন্ন মানুষেরা উপস্থিত থেকে নিজেদের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের বৃহত্তর সম্পর্ক গড়ে তুলবে আমরা আশা প্রকাশ করি।
ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে দুই শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দেবেন। যার মধ্যে থাকবেন সমাজের বিভিন্ন অংশে নোয়াখালীর গুণী ব্যক্তিবর্গ। এপার বাংলা এবং বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে যোগ দেবেন আরও প্রায় ৭০০ প্রতিনিধি। এই অনুষ্ঠানে থাকছে গুণীজন সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখানে উপস্থিত থাকবেন সংগীতশিল্পী গঙ্গাধর তুলিকা ও প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের মতো গুণী ব্যক্তি।